ঝিনাইদহে ডেঙ্গুতে নারীর মৃত্যু, জানে না স্বাস্থ্য বিভাগ!
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় ডেঙ্গুতে তারানা বেগম (৩৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। অথচ আজ বৃহস্পতিবার রাত ৭টার সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম এ সংক্রান্তে কোনো তথ্য তাঁর কাছে নেই বলে জানান এনটিভি অনলাইনকে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আইয়ুব হোসেনও মৃত্যুর ঘটনাটি জানেন না বলে জানান। এদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাফায়েত ফোনই ধরেননি। অথচ বুধবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় তারানার।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ছাড়পত্র সূত্রে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত তারানা বেগম কালীগঞ্জ উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, ১ সেপ্টেম্বর জ্বর নিয়ে ভর্তি হন তারানা বেগম। পরীক্ষা পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে তাঁর। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয় তাঁকে। পথে মধুখালী সেতু পার হওয়ার পর মারা যান তারানা। বৃহস্পতিবার বিকেলে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে তোলপাড় শুরু হয়। সংবাদ মাধ্যমের কাছে একে অপরের ওপর দোষারোপ করে নানা অসংলগ্ন তথ্য দিতে থাকেন তারা।
অন্যদিকে মৃত তারানা বেগমের স্বামী আলতাফ হোসেন জানান, গত ২৭ আগস্ট তাঁর স্ত্রী প্রথমে জ্বর অনুভব করেন। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসার পর ১ সেপ্টেম্বর রোববার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তাঁকে। পরীক্ষার পর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এরপর হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল । গত বুধবার সকালে অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসকরা ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করেন।
আলতাফ হোসেন আরো জানান, ফরিদপুর মেডিকেলে যাওয়ার পথে মধুখালী সেতু পার হওয়া মাত্র তারানা মারা যান। বাড়ি ফিরে রাতেই তারা দাফন সম্পন্ন করেছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক অপূর্ব কুমার জানান, তারানা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর অবস্থা খারাপ হওয়ায় ফরিদপুর রেফার করা হয়। পথে মৃত্যু হয়েছে কি না, এটা তাদের কেউ জানাননি।