দেশে দুর্নীতি ভয়াবহ, ছাত্রলীগ নেতাদের বহিষ্কারই এর প্রমাণ’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দুনীতির অভিযোগে বহিষ্কার করার মাধ্যমে প্রমাণ হয় দেশে দুর্নীতি কত ভয়াবহ পরিমানে পৌঁছেছে। এটা প্রমাণ হয়ে গেছে তার দলের সবাই দুর্নীতি করছে। সবাই মিলে দুর্নীতি করছে। দুর্নীতির অভিযোগে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আমরা এতে খুশি হয়েছি।’
আজ রোববার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছাত্রলীগের নেতাদের বহিষ্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যতটুকু জানি প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক। তিনি ছাত্রলীগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আইন দিয়ে রাজনীতি হয় না। রাজনীতিকে যদি আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেন এটি নজিরবিহীন আর এটা এ সরকারই করাচ্ছে। এতে প্রমাণ করে এ সরকার গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। তাই তারা রাজনৈতিক দলকে আদালত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে আজ গণতন্ত্র অনুপস্থিত। ৮০ দশক থেকে যিনি এ দেশের গনতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছন তিনি আজ মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী। এদেশের জন্য এর চেয়ে আর দুর্ভাগ্য কী হতে পারে? ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই এ দেশের গনতন্ত্রের দুর্দিন শুরু হয়।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ দেশে নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র কায়েম হয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীনরা সব নির্বাচনই করে। আর নিজেদের পছন্দ মত নির্বাচন করে নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছে।’ তিনি বলেন, ‘পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতি এ বি এম খাইরুল হককে দিয়ে বাংলাদেশের গনতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় শাসন কামেয় করেছিল। এটিই ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসের টার্নিং পয়েন্ট।’ তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতি আমাদের দলের কমিটম্যান্ট ১০০ ভাগ। এটা আমরা সব সময় প্রমাণ করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান এবং আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।