সিরাজগঞ্জে ইউএনওসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে কৃষকের মামলা
অবৈধভাবে ভূমিহীন কৃষককে বিদ্যুৎচালিত সেচ প্রকল্প স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ইফ্ফাত জাহানসহ (ইউএনও) ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন একজন কৃষক।
আজ রোববার দুপুরে তাড়াশ সহকারী জজ আদালতে মামলাটি করেন তাড়াশ উপজেলার গুড়পিপুল গ্রামের লুৎফর রহমান।
মামলাটি সাময়িকভাবে গ্রহণ করে সমন জারির আদেশ দেন বিচারক শাহাদাত হোসেন। আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম ও বাদীপক্ষের আইনজীবী বরাদ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, সিরাজগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার, তাড়াশ পানাশী প্রকল্পের উপসহকারী প্রকৌশলী ইসরাইল হোসেন, তাড়াশ উপজেলার দোগারিয়া গ্রামের ১ নম্বর বিবাদী কাবিল উদ্দিন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার বাদী লুৎফর রহমান একজন প্রান্তিক কৃষক। তিনি আড়ংগাইল মৌজায় নিজের জমিতে ডিজেলচালিত পাম্পের মাধ্যমে জমি সেচ করে আসছেন। কিন্তু তিনি ডিজেলচালিত সেচপাম্পের পরিবর্তে বিদ্যুৎচালিত পাম্প স্থাপনের জন্য গত ১৫ এপ্রিল তাড়াশ পল্লীবিদ্যুতের জোনাল অফিসে আবেদন করেন। তাঁর সেচ প্রকল্পের মাত্র ২০ গজ দূরে বিবাদী কাবিল উদ্দিন নিজের জমিতে বোরিং করে অগভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ওই অফিসে পাল্টা আবেদন করেন। এত অল্প দূরত্বে বিদ্যুৎচালিত সেচ প্রকল্প স্থাপনের জন্য আবেদন করায় পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির থেকে বিষয়টি তদন্ত করা হয়।
তদন্তে বিবাদী কাবিল উদ্দিনের নিজস্ব কোনো জমি নাই বলে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তিনি ভূমিহীন হওয়ার সত্ত্বেও বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী ইসরাইল হোসেনের যোগসাজসে অবৈধভাবে কৃষক কাবিলকে বিদ্যুৎচালিত সেচ প্রকল্প স্থাপনের অনুমতি দেওয়ার চেষ্টা করেন।
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, এই সেচ প্রকল্পকে কেন্দ্র করে এলাকায় জনঅসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যদি ওই সেচ প্রকল্পে আরেকটি সেচপাম্প বসানো হয় তাহলে বাদীর অপূরণীয় ক্ষতি হবে। এজন্য প্রকল্প বাবদ ওই বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন বলে জানানো হয়।