অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি, মৃত সন্তান প্রসব
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/09/28/photo-1569681674.jpg)
মাদারীপুরে জিতু আক্তার (২৫) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে লাথি মেরেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে অস্ত্রোপচার করলে ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করে। সদর উপজেলার মস্তফাপুর উকিল বাড়ি এলাকায় গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা জানান, উকিল বাড়ি এলাকার শাজাহান হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদার (৩০) তাঁর চাচাতো ভাই জহির হাওলাদারের (৩৫) কাছে একটি মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে লাভ দেওয়ার কথা বলে টাকা ধার নেন। কিছুদিন পরে রাজু বন্ধক রাখার মূল টাকা জমা দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে নেন কিন্তু লাভের টাকা দেননি। এই ঘটনার জেরে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে জহির হাওলাদার লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ রাজুর বাড়িতে হামলা চালান।
হামলার একপর্যায়ে জহির হাওলাদারের লোকজন রাজুর গর্ভবতী স্ত্রী জিতু আক্তারকে লাথি মারলে গুরুতর আহত হন তিনি। রাতেই শহরের প্রত্যাশা বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে অস্ত্রোপচার করালে মৃত সন্তান প্রসব হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসক এলিজা বলেন, আমরা রাতে অস্ত্রোপচার করে দেখি শিশুটি মারা গেছে। গর্ভবতী ওই নারীর পেটে গুরুতর আঘাত লাগার ফলে গর্ভে থাকা অবস্থায় শিশুটি মারা যায়।
এ বিষয়ে রাজু হাওলাদার বলেন, জহির রাতে লোকজন নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় আমার স্ত্রীর গর্ভে থাকা সন্তান মারা যায়। আমি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
এ ছাড়া হামলায় রাজুর মা সাফিয়া বেগম (৫৩), ভাই জসিম হাওলাদার (২৪) ও নাছিম হাওলাদার (২০) আহত হন।
তাদের মধ্যে সাফিয়া বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জসিম ও নাছিম সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি সদর হাসপাতালে ও প্রত্যাশা বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। গর্ভবতী নারী আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ায় শিশুটি পেটে মারা যায়। থানায় অভিযোগ দিলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জহির হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তাঁর মুঠোফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।