পরকীয়ায় অতিষ্ঠ হয়েই স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা
হবিগঞ্জে স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যা করেছিলেন সবজি ব্যবসায়ী সেলু মিয়া। গতকাল বুধবার রাতে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে হত্যার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন সেলু মিয়া। তিনি হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরের বাসিন্দা।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে স্বীকারোক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা।
সেলু মিয়ার স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, প্রায় দেড় বছর আগে ঘরে স্ত্রীসহ দুই সন্তান থাকাবস্থায় সেলু মিয়া বানিয়াচং উপজেলার তারাসই গ্রামের ফুলবরণ নেছার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে বিয়ে করেন। একপর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ফুলবরণ অন্য ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ পরিস্থিতিতে তিনি প্রথম স্ত্রীর বাবা ও ভাইকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এরই অংশ হিসেবে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রী ও তাঁর মাকে আলাদা বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে বাসা দেখাতে নিয়ে যান। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের শহরতলির খোয়াই নদীর কাছে নিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে উভয়ের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেন সেলু মিয়া ও তাঁর প্রথম স্ত্রীর বাবা ও বড় ভাই।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির মধ্যমে সেলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করলে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন।