যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতন, হাসপাতালে গৃহবধূ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।
পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা জানায়, সাঁথিয়া উপজেলার বড় পাথাইল হাট গ্রামের ওয়াজেদ আলীর মেয়ে সীমা খাতুনের সঙ্গে চাটমোহর উপজেলার কুমারগাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের বিয়ে হয় ১২-১৩ বছর আগে। বিয়ের পর তাঁদের সংসারে এক মেয়ে (৯) ও এক ছেলে (১) জন্ম নেয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শফিকুল ইসলাম ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে সীমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। কয়েক মাস আগে যৌতুক না পাওয়ায় শফিকুল সীমাকে তাঁর বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন। সীমা খাতুনের অসহায় বাবা-মা নাতি, নাতনি ও মেয়ের সুখের কথা ভেবে জামাতার সব অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করে দাবি করা অর্থ দিয়ে মেয়েকে আবার স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও যৌতুকের দাবি তুলে সীমাকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেন শফিকুল। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে শফিকুল ইসলাম শ্বশুর বাড়ি আসেন। সীমাকে যৌতুকের টাকার কথা বলেন। টাকা দিতে পারবে না বলায় শফিকুল ইসলাম স্ত্রীর পায়ের পাতা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যান। বাবা-মা আহত সীমাকে দ্রুত সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে শফিকুলকে আসামি করে সীমার বাবা ওয়াজেদ আলী সাঁথিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।