নওগাঁয় এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, আটক ৪
নওগাঁয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ শুক্রবার ধামইরহাটে ওই ঘটনা ঘটে। দুর্বৃত্তরা ওই যুবকের লাশ পানিতে ফেলে চলে যায়।
নিহত তরুণের নাম রুপলাল হেমরম (২০)। সকালে বীরগ্রাম মোল্লাপাড়া এলাকায় পানিতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে ধামইরহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ চারজনকে আটক করেছে।
নিহত রুপলাল হেমরমের বাবা অনিল হেমরম জানান, লাশের কপালে এবং মাথায় ও শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের দাগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে রুপলাল হেমরমের চাচা স্বপন হেমরম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে একই গ্রামের জুয়েল সরেনের সঙ্গে উকিল হেমরমের শ্যালিকা সাথী কিসস্কুর গোপনে কপালে সিঁদুর পড়ানো হয়। ওই বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে বউ নিয়ে যাওয়া নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় দিকে উকিল হেমরমের বাড়ীর পাশে বিষয়টি নিয়ে ওই এলাকার যুবকের সাথে রুপলাল হেমরমের কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাঁকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে। সিঁদুর পড়াকে কেন্দ্র করে বিরোধের কথা সাথী কিসস্কুর দুলাভাই উকিল হেমরম ও জুয়েল সরেন অস্বীকার করেন। সাথী কিসস্কুর বোন শিউলী সরেন এবং জুয়েল সরেনের বোন অনিতা জানান, সিঁদুর পড়ার সঙ্গে খুনের কোন সম্পর্ক নেই।
এদিকে শুক্রবার দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বপন হেমরম, প্রভু হেমরম, পরিমল সরেন ও মিঠুন সরেন নামের চার যুবককে আটক করে ধামইরহাট থানা পুলিশ।
ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকিরুল ইসলাম জানান, নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশিদুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চার যুবককে আটক করা হয়েছে। রুপলাল হেমরমের বাবা অনিল হেমরম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।