নিয়োগে অনিয়ম, কলারোয়ায় প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকসহ তিনজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ করে ওই নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সদস্য আবদুল লতিফ মিঠু। রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে আবদুল লতিফ মিঠু জানান, সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম টুকু কলারোয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে ২০১৩ সালের ২২ নভেম্বর চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারীর নিয়োগ বোর্ড গঠন করেন। এই বোর্ডের মাধ্যমে জামায়াত নেতা আনছার আলীকে প্রধান শিক্ষক, শাহনিমা আক্তারকে সহকারী প্রধান শিক্ষক, আমিনুল ইসলামকে ধর্মীয় শিক্ষক ও মিলন হোসেনকে পিয়ন পদে নিয়োগ দিয়ে ২০১৪ সালের ১২ মার্চের মধ্যে যোগদানের জন্য বলা হয়। এই নিয়োগের বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কেবল মিলন হোসেন ছাড়া অন্যরা যোগদান না করলেও কাগজপত্র পরিবর্তন করে তাঁদের পেছনের তারিখে যোগদান দেখানো হয়।
আবদুল লতিফ মিঠু অভিযোগ করে বলেন, জামায়াত নেতা আনছার আলী হিজলদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চাকরি করেন এবং অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি বেতন ভাতা উত্তোলন করেন। অথচ ওই বছরের ১ মে থেকে তিনি চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে তাঁর বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন।