ভাষাসৈনিক গোলাম আকবার চৌধুরী আর নেই
মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক, মুজিবনগর সরকারের প্লানিং সেলের সদস্য, বিশিষ্ট লেখক, সাউথ এশিয়া ইন্সুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান গোলাম আকবর চৌধুরী আর নেই। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।
গোলাম আকবর চৌধুরী ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্বামী। তাঁদের ছেলে নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়মন আকবার চৌধুরী বাবলু। তাঁদের মেয়ে সামা রহমান দেশের একজন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। এ ছাড়া তিনি আরো দুই ছেলে, বহু আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী মরহুম গোলাম আকবর চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদের সহানুভূতি জানাতে আজ তাঁর গুলশানের বাসভবনে যান।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বাসসকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে গোলাম আকবর চৌধুরীর বাসভবনে যান এবং কিছু সময় সেখানে অবস্থান করেন। শেখ হাসিনা সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীসহ পরিবারের শোকাহত সদস্যদের সহানুভূতি জানান এবং মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্বামী বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক ও কলামিস্ট গোলাম আকবর চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন। এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, গোলাম আকবর চৌধুরীর মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে হারিয়েছে। এটা জাতির জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। রাষ্ট্রপতি গোলাম আকবর চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান বলে বাসসের খবরে বলা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, আজ আসরের নামাজের পর গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজা শেষে গোলাম আকবর চৌধুরীকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে গোলাম আকবর চৌধুরীর মৃত্যুতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা বিএনপিসহ জেলার সব নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সংগঠন, জেলার সর্বস্তরের মানুষ তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।