কবিতা ভাষা আন্দোলনের কথা বলে, রুখে দেয় দুঃসময়
জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি কবি আসলাম সানি বলেছেন, কবিতা সন্ত্রাস রুখে দেয়। কবিতা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলে প্রতিরোধের প্রাচীর। উন্নয়ন আর সমৃদ্ধিতে কবিতা এনে দেয় বিস্ময় আর চমক। দুঃখ আর দারিদ্র্যের বুকে কবিতা এঁকে দেয় আপনার চিহ্ণ।
শনিবার সাতক্ষীরায় কবিতা উৎসবের আমেজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসলাম সানি বলেন, কবিতা মানবসম্পদ গড়ে, ভাষার শৈল্পিক তুলি দিয়ে কবিতা এঁকে দেয় মানচিত্র। সাতক্ষীরা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে কবিতা উৎসবের মিলনমেলায় কবিরা গেয়ে ওঠেন ‘আমি তো এসেছি তিতুমীর আর হাজি শরীয়ত থেকে। আমি তো এসেছি গীতাঞ্জলি ও অগ্নিবীণার সাথে।’ কবিতা আমাদের জীবন-সংস্কৃতির কথা বলে। কবিতা বলে শান্তির কথা, অসাম্প্রদায়িকতার কথা।
কবিতা রুখবেই দুঃসময়। বলবে দেশপ্রেমের কথা। শান্তির মিছিলে চলেছে কবিতা।
শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ আর জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সঙ্গে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সকালে শুরু হয় কবিতা উৎসব।
কবি শুভ্র আহমেদের সভাপতিত্বে উৎসবের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সভাপতি কবি আসলাম সানি। এতে আরও বক্তৃতা করেন জাতীয় গীতি কবি পরিষদ সভাপতি এম আর মনজু, নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল বাসার, অধ্যাপক গাজী আজিজুর রহমান, অধ্যক্ষ আবদুর রহমান, চারু পিন্টু, কবি মন্ময় মনির, অধ্যাপক সালেহা আকতার, আমিনুর রশীদ, শেখ সিদ্দিকুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জ্বল। উৎসবে গুণীজন সম্মাননা লাভ করেন কবি সাকিরা পারভিন, এমপি রিফাত আমিন ও সাংবাদিক শেখ আবদুস সোবহান।
অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন দৈনিক দক্ষিণের মশাল সম্পাদক অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী। এতে প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন স ম তুহিন, অধ্যাপক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ, আশুতোষ সরকার, সিরাজুল ইসলাম, কিশোরী মোহন সরকার, মোস্তফা নুরুজ্জামান, সৈয়দ একতেদার আলী, মাসুদুর রহমান, আবু সাঈদ, পার্থ প্রতিম সাহা প্রমুখ।