নিজ এলাকায় চিরশয্যায় মেয়র গফুর
রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার মেয়র আব্দুল গফুর সরকারের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টায় নওহাটা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে শ্রীপুরে তাঁর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ৩ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে পবা থানা পুলিশের একটি দল আজিমপুর কবরস্থান থেকে মেয়র গফুরের লাশ উত্তোলন করে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার ভোরে নওহাটায় লাশ নিয়ে আসা হয়।
গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন নওহাটা পৌর মেয়র আব্দুল গফুর। গত ৬ জানুয়ারির পর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি মেয়র।
এ ঘটনায় আটক মিম পুলিশকে জানায়, মেয়র আব্দুল গফুরকে গত ৭ জানুয়ারি হত্যার পর ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তিনি নিজেকে মেয়রের স্ত্রী বলে দাবি করেন।
পবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি থেকে বন্ধ থাকার পর ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি মেয়রের দুটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে তাঁর ছেলের মোবাইল ফোনে দুটি এসএমএস আসে। ওই দুটি এসএমএসের একটিতে ২৫ হাজার টাকা এবং অন্যটিতে ৫০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন যোগাযোগ বিছিন্ন থাকার পর এসএমএস করে বিকাশে টাকা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে ১৯ জানুয়ারি মেয়রের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসা পারুল পবা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
পবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘অনুসরণ করে মেয়রের ফোন নম্বরের অবস্থান ৭ জানুয়ারি নওগাঁ এবং তারপর থেকে ঢাকায় পাওয়া যায়। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গত ২৩ জানুয়ারি ঢাকার সংসদ ভবন এলাকা থেকে মিম নামের একজনকে আটক করা হয়। এরপর ৩১ জানুয়ারি মিমের দুই বোন জান্নাতুন নাইম ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে নওগাঁ ও ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশ।’
জানাজায় অংশ নেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন ও সাবেক সংসদ সদস্য মেরাজ উদ্দিন মোল্লা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ।