মুক্তিপণ দিয়ে ১২ দিন পর সুন্দরবন থেকে ফিরলেন আট জেলে
মুক্তিপণ দিয়ে অপহরণের ১২ দিন পর আজ রোববার ভোরে সুন্দরবন থেকে বাড়ি ফিরেছেন আট জেলে। ৮ ডিসেম্বর মেহের আলী চর থেকে তাঁদের অপহরণ করা হয় বলে জেলেরা জানান।
ভুক্তভোগীরা জানান, সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে মেহের আলীর চরে তাঁদের আটক রেখে মারধর করা হতো। পরে জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী প্রতিজনকে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে মুক্তি পেতে হয়েছে। আজ রোববার ভোরে তাঁদের সাতক্ষীরার শ্যামনগরের সুন্দরবন এলাকার ভেটখালীতে কাঁকড়া ধরা জেলেদের নৌকায় তুলে দেওয়া হয়।
urgentPhoto
ভুক্তভোগীদের একজন বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বেড়েখালী গ্রামের এনামুল হক বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর আমরা ৩০ জন জেলে ট্রলার নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাই। মাস দুয়েক থাকার পরিকল্পনা ছিল। সঙ্গে চাল-ডাল, টাকা ও জাল নিয়ে যাই। আমরা মেহের আলীর চরে পৌঁছানোর পরই অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কয়েকজন লোক আমাদের ট্রলারগুলোকে বনের কিনারে ভেড়ার জন্য হুকুম করে। আমরা আতঙ্কিত হয়ে পাড়ে নামি। তারা আমাদের মারধর করে জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায়।’
এনামুল বলেন, ‘ওদের আস্তানায় আমাদের ১২ দিন জিম্মি থাকতে জয়। জানতে পারি, ওরা জলদস্যু আলিম বাহিনীর লোক। তারা আমাদের ওপর নির্যাতন করত। মোবাইল ফোনে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা বলে টাকা দিতে বলত। টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দিত।’
এনামুল আরো বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। অনেক কষ্ট করে জমি বিক্রি ও ধারদেনা করে ৬০ হাজার টাকা করে প্রতিজন দিয়েছি। বিকাশ করে টাকা দিতে হয়েছে। তারা আমাদের ট্রলার ও জাল ফেরত দেয়নি।’
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে শ্যামনগর থানা পুলিশ জানায়, ‘এমন কোনো অভিযোগ কেউ দেয়নি।’
নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুলতে চায় না। প্রাণের ভয়ে থানায় অভিযোগ করতে ভয় পান জেলেরা।’