খালেদা জিয়ার আবেদনে পেছাল আদেশের দিন
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলা বাতিল-সংক্রান্ত আদেশের দিন আবার পেছানো হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১০ মার্চ দিন ধার্য থাকলেও আজ রোববার তা পিছিয়ে ১৫ মার্চ নির্ধারণ করেছেন আদালত। ওই দিন আদালত শুনানিও করবেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনের শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনসহ ছয়জন আইনজীবী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘এ মামলায় ১০ মার্চ আদেশের দিন ধার্য থাকলেও আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ১৫ মার্চ শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য পুনর্নির্ধারণ করেন।’
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ দিন ধার্য করেছেন। এর আগে তাঁরা শুনানিতে আসেননি। শুধু আমরাই শুনানি করেছি। এখন তাঁরা নতুন করে শুনানি করতে চান। আদালত তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) শুনানি শেষে ১০ মার্চ আদেশের দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।
২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করা হয়।
খালেদা জিয়া ছাড়া চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন সমবায় ও পল্লী উন্নয়নমন্ত্রী আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান (মৃত), শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী শামসুল ইসলাম, কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সমাজকল্যাণমন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদসহ ১৬ জনকে আসামি করা হয়েছিল। পরে এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরে কয়েক দফা সময় আবেদন করে মামলার স্থগিতাদেশ বৃদ্ধি করা হয়। এ মামলায় খালেদা জিয়া স্থায়ী জামিনে রয়েছেন।