‘মাঠে ভোট চাও কেন’ বলেই হামলা
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পৌরসভায় বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও তাঁর লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে কুয়াকাটার মেথাউপাড়া এলাকায় ভোট চাইতে গেলে এই হামলা চালানো হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
হামলায় কুয়াকাটার ১ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলী আক্কাস, বিএনপিকর্মী আল আমিন হাওলাদার ও জাফর হাওলাদার আহত হন। আওয়ামী লীগের পক্ষে আহত হন খলিল, মিলন ও সোহাগ।
কুয়াকাটা নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় মণ্ডল জানান, আজ দুপুর ১টার দিকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেথাউপাড়া এলাকায় ভোট চাইতে গেলে কুয়াকাটা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মজিবর হাওলাদারের নেতৃত্বে বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলী আক্কাসের ওপর হামলা চালানো হয়। এ সময় উভয় দলের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় দলের ছয়জন গুরুতর আহত হন। কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আক্কাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের কুয়াকাটা ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, বিএনপি-সমর্থিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আলী আক্কাসের নাক-মুখে জখমের চিহ্ন। ব্যথার চোটে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। পাশেই বসে ছিলেন তাঁর ভাতিজা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা তখন পাড়া দিয়া ভোট চাইয়া বাইরামু, তখন ওরা সামনে দিয়া আইসাই বলে, তোমরা ভোট চাও কেন মাঠে? আরেকজন বলতাছে, ভোট চাও, আবার জিগাও কেন? বিএনপি করে, এখন আবার ভোট চায় কেন? কইয়াই, লাঠি ছিল, বগি ছিল, চাপাতি ছিল এই দিয়া পিডান শুরু করছে। কাকুরে কোপ দিছে, মাথা পাছাইয়া। আর আমাগো তিন-চারজনরে গা পাছাইয়া পিডাইয়া মাংস উঠাইয়া ফালাইছে। ওরা ৩০-৪০ জন ছিল। আশপাশে লোকজন ছিল, ইলেকশন তো। এরা আইসা আমাদের উদ্ধার করছে। এরা না আইলে মাইরাই ফালাইতো। এলাকার লোকজন বলছে, লোকটারে মাইরা ফালাইবি? এরা কি বাঁচবে না? সে (ছাত্রলীগ নেতা মজিবর হাওলাদার) বলছে, মরবে, মরবে তোমাদের কী। এলাকার লোকজন মাইর-টাইর খাইয়া আমাগো উদ্ধার কইরা একটা বাসায় রাখছে। ওই বাসায়ও হামলা চালাইছে।’
হামলার ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা মজিবর হাওলাদারের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
বিএনপি মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী মো. আবদুল আজিজ মুঠোফোনে জানান, তাঁর দলের কর্মী-সমর্থকদের প্রচারে বের হতে বাধা দেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।