সাভারে পোশাক কারখানায় শতাধিক শ্রমিক হঠাৎ অসুস্থ

ঢাকার সাভারের একটি পোশাক কারখানার দুই শতাধিক শ্রমিক একসঙ্গে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আজ রোববার সকালে সাভারের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডাইং নামে পোশাক কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কয়েকজন শ্রমিক একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এভাবে একের পর এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কারখানার প্রায় দেড় হাজারের বেশি শ্রমিক। কারখানাজুড়ে সৃষ্টি হয় ভীতিকর পরিস্থিতি।
অসুস্থ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তাঁদের রিকশা-ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহনে করে আশপাশের বিভিন্ন ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানেও স্থানসংকুলান না হওয়ায় তাঁদের সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একশ জনেরও বেশি শ্রমিককে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান হাসপাতালের পরিচালক চিকিৎসক আনোয়ারুল কাদের নাজিম। তিনি জানান, একসঙ্গে এত রোগী আসায় চিকিৎসক-সেবিকাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও সবাইকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
রোগ প্রসঙ্গে হাসপাতালের আরেক পরিচালক মনিরুজ্জামান এনটিভিকে জানান, রোগের লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, শ্রমিকরা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত। একজনকে অসুস্থ দেখে আরেকজনের অসুস্থ হয়ে যাওয়াই এ রোগের লক্ষণ। রোগীদের স্যালাইন দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রামে রাখলেই তাঁরা সুস্থ হয়ে যাবেন বলে জানান মনিরুজ্জামান।
যোগাযোগ করা হলে একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডাইংয়ের পরিচালক সাদুল্লাহ সাজু জানান, শ্রমিকদের চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অসুস্থ হওয়ার মতো কোনো কিছু কারখানায় ঘটেনি। মনস্তাত্ত্বিক কারণে তাঁরা একে একে অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে তাঁর ধারণা।
তবে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক নারী শ্রমিক জানান, সকালে কাজে যোগ দেওয়ার কিছুক্ষণ পর তিনি কারখানার ওয়াশরুমে গিয়ে পানি পান করেন। এর পর থেকেই পেটে প্রচণ্ড ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব মিয়া জানান, অসুস্থতার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, কেউ গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। তবে এর পেছনে কোনো ষড়যন্ত্রও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি।