মেহেরপুর সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামে বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলাম নিজেই ছুটলেন তা বন্ধ করতে। সেখানে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করলেন এবং বর ও কনেসহ চারজনকে জরিমানা করলেন। জরিমানা শেষে সবাইকে শপথ করালেন বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে।

সোমবার রাতে সোনাপুর গ্রামের একটি বিয়ে বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ-আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সদর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলামের দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের (১৫) সঙ্গে একই গ্রামের আলিহিম হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেনের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে। এ খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে বিয়ে বাড়িতে হাজির হন ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দলটি পৌঁছানোর খবর পেতেই বর ও কনের বাড়ির সবাই পালিয়ে যায়।

তবে কনে ও বরের চাচা সেন্টু মিয়াকে আটক করতে সক্ষম হন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে আদালত বিয়ে বাড়ির সবাইকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বর বিপ্লব হোসেন, কনের বাবা জিয়ারুল ইসলামসহ অন্যরা।

এ সময় বর বিপ্লব হোসেন, কনে, কনের বাবা জিয়ারুল ইসলাম ও বরের চাচা সেন্টু মিয়ার কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় করা হয়।

জরিমানা আদায় শেষে তাঁদের শপথ করিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয় এবং বিয়ের বয়স না হওয়া পর্যন্ত গ্রামের আর কারো যেন বিয়ে না দেওয়া হয় সেজন্য সবাইকে শপথ করানো হয়।

দলে অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) খাইরুল হাসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীনুজ্জামান, এনডিসি মোহাম্মদ নূর এ আলম, উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।