কুষ্টিয়ায় গণপদত্যাগ : বিএনপির তদন্ত কমিটির ওপর হামলা
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দল থেকে গণপদত্যাগের বিষয়ে গঠিত বিএনপির তদন্ত কমিটির ওপর হামলায় পৌর যুবদলের এক নেতা আহত হয়েছেন। আজ বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
গত ১০ জানুয়ারি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভেড়ামারা উপজেলা বিএনপি ও যুবদলসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন থেকে দুই শতাধিক নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেন। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাজেদুর রহমান বাবলুর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানান, তদন্ত কমিটি আজ বেলা ১১টার দিকে ভেড়ামারায় মাইক্রোবাসে করে শহীদুল ইসলামের বাড়িতে গেলে পদত্যাগকারী নেতা-কর্মীরা হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তদন্ত কমিটির গাড়ি ভাঙচুর করেন।
স্থানীয় ভেড়ামারা-মিরপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে জাসদের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালিয়েছে। জাসদ নেতা আনছার আলীর নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এতে মোশাররফ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তবে হামলায় গুলিবর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন ভেড়ামারা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল হাসান।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, বিএনপি থেকে সম্প্রতি পদত্যাগকারীরা এই হামলা চালিয়েছে। পৌর নির্বাচনে ভোট বিক্রির অভিযোগে পদত্যাগকারীদের সঙ্গে অধ্যাপক শহীদুল ইসলামের বিরোধ চলছে।
এ ব্যাপারে পদত্যাগকারী বিএনপি নেতা আনোয়ার-উল আজিম বাবু বলেন, ‘আমি ওই সময় কুষ্টিয়ার বাইরে অবস্থান করছিলাম। অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম প্রকাশ্যে নৌকার পক্ষে ভোট করায় আমরা লজ্জিত এবং এই কারণে পদত্যাগ করেছি। আজকের ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই।’