হাতকড়া ছাড়া আসামি কাঠগড়ায়, আইনসম্মত নয় বললেন আদালত
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার আসামি ও সাবেক র্যাব কর্মকর্তাদের হাতকড়া না পরিয়েই আদালতে হাজির করায় এ ব্যাপারে পুলিশের অবস্থান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এটি বিধিসম্মত নয় বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।
আজ বুধবার র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১ নারায়ণগঞ্জের অভিযুক্ত ও বরখাস্ত তিন কর্মকর্তা সাবেক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ, সাবেক মেজর আরিফ হোসেন ও কমান্ডার এস এম রানাসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাঁদের তিনজনের হাতে হাতকড়া ছিল না। তবে মামলার অন্য ২৭ আসামিকে ঠিকই হাতকড়া পরিয়ে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তির জবাবে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এইচ এম শফিকুল ইসলাম ভবিষ্যতে এই মামলার ক্ষেত্রে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। আদালত বলেন, ‘আইনের চোখে সবাই সমান। কিন্তু যেভাবে এই তিন অভিযুক্তকে কাঠগড়ায় আনা হয়েছে, তা আইনসম্মত নয়।’
উল্লেখ্য, র্যাবের এই সাবেক তিন কর্মমর্তাই এরই মধ্যে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জবানবন্দি দিয়েছেন।
শুনানি শেষে আগামী ১১ মে এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান হাবিবের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে, আদালতের কার্যক্রম চলাকালে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে আদালত চত্বরে মিছিল করেন নারায়ণগঞ্জের আইনজীবীরা।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন।
পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন।