টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে স্থানীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়।

গত রাতে টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফীজুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। মামলায় টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, পরিবহন নেতা জাহিদুর রহমান কাকন, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরের কলেজপাড়ায় নিজ বাসার সামনে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে ছিল। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে কারো নাম উল্লেখ না করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

এরপর ২০১৪ সালের আগস্টে টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এ মামলায় আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পুলিশের কাছে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ ছাড়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন।

জবানবন্দিতে রাজা ও আলী দাবি করেন, এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী পরিবারের চার সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা জড়িত ছিলেন। এর পর থেকেই আত্মগোপনে চলে যান এই চার ভাই।

প্রায় দুই বছর ধরে দীর্ঘ তদন্তের পর আলোচিত এ মামলার অভিযোগপত্র দিল পুলিশ। তবে মামলায় ১৪ আসামির মধ্যে কেবল আলী ও রাজা কারাগারে আছেন। বাকি ১২ জনই পলাতক।