এক খেলায় বিজয়ী দুই দল
পঞ্চগড়ে শেষ হলো গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পাকখী খেলা। জেলা শহরের জালাসী হঠাৎপাড়া এলাকায় গতকাল শুক্রবার বিকেলে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
চূড়ান্ত খেলায় কেউ কাউকে হারাতে না পারায় উভয় দলকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের দুটি পুরস্কারই তুলে দেওয়া হয়।
ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালের ১১ ডিসেম্বর জেলা শহরের হঠাৎপাড়া এলাকায় আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ পাকখী খেলা। জালাসী যুব সমাজ এই খেলার আয়োজন করে।
গতকাল বিকেলে পাকখী খেলার চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মাঠে নামে জালাসী কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন ও হাঁড়িভাসা মনোহরদিঘী গ্রাম। বিকেল ৪টায় খেলা শুরু হয়। তিন দফা বিরতিতে দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী খেলায় (রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) কোনো দলই কাউকে (পাকখী দিতে না পরায়) পরাজিত করতে পারেনি।
অবশেষে খেলা পরিচালক, দুই দলের অধিনায়ক, টিম ম্যানেজার, খেলা আয়োজক ও অতিথিরা দুই দলকেই বিজয়ী ঘোষণা করে। পুরস্কার হিসেবে একটি গরু ও ১টি ছাগল উভয় দলকেই দেওয়া হয়।
পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পঞ্চগড় সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মির্জা সারওয়ার হোসেন, মোশারফ হোসেন, বিপেন চন্দ্র, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান মঞ্জু, হাঁড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. জসিমউদ্দিন, হাফিজাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. শাহাদাত হোসেন, জালাসী যুব সমাজের পক্ষে মো. সাদিকুল ইসলাম সাদ্দাম, আব্দুর রশিদ প্রমুখ দুই দলের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এর আগে পাকখী খেলাকে ঘিরে গোটা এলাকায় উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে। বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত শত শত শিশু, নারী-পুরুষ খেলা উপভোগ করে। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী পাকখী খেলা বর্তমান প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে পেরে আয়োজনে খুশি আয়োজকরাও।
পাকখী খেলায় মোট ৮টি দল অংশ নেয়। অন্য দলগুলো হচ্ছে-গোমনাপাড়া, কায়েতপাড়া, বলেয়াপাড়া, গোফাপাড়া, পুখুরীর ডাঙ্গা ও উত্তর জালাসী।