৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি করতে পারে আ.লীগ
বড় হচ্ছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। বাড়ছে তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ। দলটির নীতিনির্ধারকরা বলছেন, ৭৩ থেকে বেড়ে এবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আকার হতে পারে ৮১ সদস্যের।
নতুন এই কমিটির মাধ্যমে নেতৃত্বের সংখ্যায় পরিবর্তন আসবে বলে আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
আওয়ামী লীগে বড় ধরনের পরিবর্তন আসে ২০০৯ সালের সম্মেলনে। দলটির প্রথম সারির অনেক রাজনীতিবিদ বাদ পড়েন কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে।
কিছুটা পরিবর্তন করে প্রায় একই কমিটি গঠিত হয় ২০১২ সালের সম্মেলনে। তাই দলটির তরুণ নেতৃত্ব তাকিয়ে আছে ২৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিকে। আর তাতে ঠাঁই করে নিতে বা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা বলেছেন, সময়ের প্রয়োজনে এবার বাড়বে কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম এনটিভিকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ, তার পরে কুমিল্লা, ফরিদপুরে হওয়ার কথা। এগুলোতে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আসতে পারে। তিনজন আসতে পারে। আর আমাদের কিছু সম্পাদকমণ্ডলীর পদও সৃষ্টি হতে পারে। এটা খুব বেশি না।...আর কিছু সদস্যসংখ্যা বাড়তে পারে। এগুলো আলোচনার মধ্যে আছে এখনো।’
দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘এ মুহূর্তে আমাদের সংগঠনের আয়তন আছে ৭৩ সদস্যের কমিটি। চিন্তাভাবনা আছে যে এটা ৮১ সদস্যের করার জন্য। কারণ ১৯৮১ সালেই আমাদের আজকের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, জননেত্রী শেখ হাসিনা, উনি দেশে ফিরে এসেছিলেন।’
সারা দেশে আওয়ামী লীগের অধিকাংশ জেলা সম্মেলন শেষ হয়েছে। যে দু-একটি বাদ রয়েছে, তা কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই সম্পন্ন হবে বলে জানালেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ। আর মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গঠনতন্ত্র ও ঘোষণাপত্র সংশোধন করে আওয়ামী লীগকে যুগোপযোগী করতে চান তাঁরা। কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা থাকছেন, কে কী দায়িত্ব পাচ্ছেন, এ নিয়ে দলের মধ্যে নানামুখী আলোচনা চললেও গণমাধ্যমে তাঁরা মুখ খুলতে নারাজ।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘...মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দল পরিচালনা করবেন, তাঁর চিন্তা-চেতনার আলোকেই সাধারণ সম্পাদক পদটি তো নির্বাচিত হয়ে থাকে।’
‘অতীতের মতো আমরা নিশ্চয়ই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেই ক্ষমতা দেওয়া হবে। মাননীয় সভানেত্রীকেই ক্ষমতা দেওয়া হবে, সাধারণ সম্পাদক বা অন্যান্য পদে কী হবে’, যোগ করেন নাসিম।
এ বিষয়ে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, ‘যাঁরা হয়তো সঠিকভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন, তাঁদের বাদ দিয়ে আরো যাঁরা নতুন, উদ্যমী, যোগ্য বলে বিবেচিত হবে—তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যতে কমিটিকে অত্যন্ত দক্ষ ও গতিশীল যাতে করা যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়াই থাকবে মূল লক্ষ্য।’
‘সে বিবেচনায় আমরা মনে করতে পারি, হয়তো এবারো কমিটিতে অনেক হয়তো পরিবর্তন দেখা যেতে পারে।’
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, এবার কাউন্সিলে যোগ দেবেন সারা দেশের ২৫ থেকে ৩০ হাজার কাউন্সিলর। সে সঙ্গে কাউন্সিলে আমন্ত্রণ পাবেন, পার্শ্ববর্তী দেশসহ গণতান্ত্রিক চর্চায় থাকা দেশগুলোর প্রতিনিধি ও দেশের বিশিষ্টজন। আর এসব কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।