চরফ্যাশনে নির্বাচনী সংঘর্ষে আহত ১০, গ্রেপ্তার ৪
ভোলার চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনের দুদিন আগে প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে পৃথক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ শনিবার প্রচারণার শেষদিনে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ফরিদা পারভিন, সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. মঞ্জু বাতান ও মো. সিরাজের সমর্থকদের মধ্যে এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জামাল উদ্দিন সবুজ ও আকতারুল আলম সামুর সমর্থকদের মধ্যে এই পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে কাজল মেম্বার, ফখরুল, জাকির, ফারুক, সোহেল, সুজন ও মিজানুর রহমানকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী জামাল উদ্দিন সবুজের ভাগ্নে। তাঁর ওপর হামলার প্রতিবাদে চরফ্যাশন বাজারে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা হামলাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন আকতারুল আলম সামুর ছোট ভাই মেহেদী হাসান কালু এবং সমর্থক মো. মাইনউদ্দিন, মো. গিয়াস উদ্দিন মোর্শেদ ও মো. রিপন।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক বলেন, এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়েছে। মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এই মামলায় তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন খান জানান, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য ১১ জন অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এ ছাড়া কেন্দ্র এলাকা এবং পথেপ্রান্তরে ভোটারদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশের চারটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সাতটি ভ্রাম্যমাণ দল, দুই প্লাটুন র্যাব ও দুই প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন থাকবে। তবে এখন পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় এসে পৌঁছায়নি।
নিরাপত্তার যে কোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে রিটার্নিং কর্মকর্তা চরফ্যাশন পৌরসভা নির্বাচনে বিজিবি মোতায়েন করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছেন। গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিজিবি মোতায়েনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
ভোলার চরফ্যাশনে আগামী সোমবার অনুষ্ঠিতব্য পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দুজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৭ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১২ জন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি ভোটকেন্দ্রের ১০ হাজার ৭৫৭ জন মহিলাসহ মোট ভোটার সংখ্যা ২২ হাজার ৩৩১ জন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আ ন ম আমিরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আওয়ামী লীগ ঘরানার প্রার্থীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ৪৯ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি ঘরানার সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থী মাত্র দুজন।