‘বিএনপি-জামায়াত ইতিহাসের জঞ্জালের ভাগাড়ের রক্ষক’
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ইতিহাসের জঞ্জালের ভাগাড়ের রক্ষক। সেই সঙ্গে তারা নতুন জঞ্জাল তৈরির কারখানাও বটে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শহীদ ড. জোহা দিবসে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে জঞ্জালমুক্ত করতে হবে’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতায় তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে জঞ্জাল মুক্ত করতে হলে যত নির্মমই হোক, জঞ্জাল পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জঞ্জালের রক্ষক, পুনরুৎপাদনকারী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি-জামায়াতকে জঞ্জালের সঙ্গেই পরিষ্কার করতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ব্রিটিশ-পাকিস্তান, সামরিক শাসকদের রেখে যাওয়া জঞ্জাল আগলে রেখে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিরাপদ হবে না, সামনে এগুবে না। এ জঞ্জাল দুর্গন্ধ ছড়াবে, বিষবাষ্প ছাড়তেই থাকবে। তাই বাংলাদেশকে জঙ্গিমুক্ত, বিপদমুক্ত, শান্তির দেশ হিসেবে গড়তে হলে অতীতের জঞ্জাল আর এর পুনরুৎপাদনকারীদের বিষয়ে ৭১, ৯০-এর মতোই সমগ্র জাতিকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, গণতন্ত্র মানেই সবার সমান অধিকার নয়। তাহলে গণতন্ত্রে কারাগার থাকত না, বিচারালয় থাকত না। গণতন্ত্রের নামে অপরাধী আর অপরাধীর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তকে এক পাল্লায় মাপা যায় না। ঠিক তেমনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা নির্বাচনে জয়ী হলেই অপরাধীর অপরাধ হালাল হয়ে যায় না। গণতন্ত্র নির্বাচনেও সবার অংশগ্রহণের অধিকার দেয় না।
রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন রাবি উপাচার্য মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। আরো বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সায়েন উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে শহীদ ড. জোহার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন এবং তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. বিলকিস জাহান লুম্বিনীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শহীদ ড. জোহার জীবনালেখ্যও পাঠ করা হয়।
এর আগে শিক্ষক দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শহীদ ড. জোহার সমাধি ও জোহা স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর রসায়ন বিভাগ ও শহীদ শামসুজ্জোহা হলসহ অন্যান্য আবাসিক হল, বিভিন্ন বিভাগ, পেশাজীবী সমিতি ও ইউনিয়ন, অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন ইত্যাদি প্রভাত ফেরিসহ শহীদ জোহার সমাধি ও স্মৃতিফলকে পুস্পস্তবক অর্পণ করে। দিবসের কর্মসূচিতে আজ ভোরে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।