চার শিশু হত্যার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
হবিগঞ্জের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে চার শিশু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক বাচ্চু মিয়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৯ শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার কাজী মনিরুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মনিরুজ্জামান জানান, বিশ্বস্ত সূত্রে র্যাব জানতে পারে, বাচ্চু মিয়া সংঘবদ্ধ দল নিয়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। এমন খবর পেয়ে তাঁকে ধরতে অভিযান চালানো হয়।
পরে হবিগঞ্জের ভারত সীমান্তবর্তী চুনারুঘাট উপজেলার দেওরগাছ এলাকায় বাচ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় র্যাব। ওই সময় র্যাবকে লক্ষ্য করে নাইন এমএম পিস্তল দিয়ে গুলি করেন বাচ্চু। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাচ্চু মিয়া নিহত হন।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, বন্দুকযুদ্ধে র্যাবের দুই সদস্য আহত হন।
র্যাব সূত্রে আরো জানা যায়, শিশুদের অপহরণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অপহরণকারীদের সঙ্গে থাকা সাহেদকে সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে আটক করা হয়েছে।
এ নিয়ে এ ঘটনায় সাতজন আটক হলো। এর মধ্যে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ছয়জন। আর র্যাবের হাতে আটক হয়েছে একজন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামে নিখোঁজ হওয়া চার শিশুর লাশ বাড়ির কাছে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই শিশুরা হলো বাহুবল উপজেলার ভাদেশ্বর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার দুই চাচাতো ভাই আবদুল আজিজের ছেলে একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আবদুল কাদিরের ছেলে সুন্দ্রাটিকি মাদ্রাসার ছাত্র ইসমাঈল হোসেন (১০)।
ওই চার শিশু হত্যার ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন ছিলেন বাচ্চু মিয়া। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থী রুবেল মিয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বলেছিল, চার শিশুকে অপহরণের পর বাচ্চু মিয়ার অটোরিকশায় করে নিয়ে যাওয়া হয়।