হবিগঞ্জে আহত যুবকের মৃত্যু, প্রতিপক্ষের বাড়িতে আগুন
হবিগঞ্জ শহরতলীর ছোট বহুলা গ্রামে পূর্ব বিরোধের জেরে হামলায় আহত আবদুল আজিজ মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খবর শোনার পর নিহতের স্বজন ও গ্রামের লোকজন প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে অন্তত ২৫টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এলাকাবাসী জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ছোট বহুলা গ্রামের বড় বাড়ির আতাব মিয়ার ছেলে আবদুল আজিজকে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিয়ে এক হাতের কনুই পর্যন্ত এবং কান কেটে শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আজিজকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সিলেটে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ বিকেলে আজিজ মারা যান।
এ খবর গ্রামে এলে আজিজের স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরই বড় বাড়ির লোকজন প্রতিপক্ষ ফকির হাটিতে হামলা, ভাঙচুর লুটপাট চালায়। এ সময় অন্তত ২৫টি বাড়ি ও বনের ঘেরে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আতঙ্কে ফকির বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনার পর পুলিশ গ্রামে অভিযান চালিয়েছে। গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।
ওসি আরো জানান, আজিজের শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করা হাত ও কান উদ্ধারের জন্য পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল এবং ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। কিন্তু সবাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।