লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ পদ্মা পারাপার
নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের নির্দেশের পরও যাত্রীরা লাইফ জ্যাকেট না পরেই স্পিডবোটে করে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌপথে পদ্মা নদী পার হচ্ছে।
সরেজমিনে শিমুলিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় সব যাত্রীই লাইফ জ্যাকেট ছাড়াই স্পিডবোটে করে পদ্মা পারি দিচ্ছে। এ জন্য লাইফ জ্যাকেটের স্বল্পতাকেই দায়ী করে যাত্রীরা। তারা বলছে, পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ না থাকায় অনেক যাত্রীই পারাপারের সময় লাইফ জ্যাকেট পায় না।
স্পিডবোট ব্যবহারকারী মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রতন খান বলেন, লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারে যাত্রীদের সচেতনতা দরকার। পাশাপাশি চালক-মালিকদের উচিত পর্যাপ্ত সংখ্যক লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ করা।
এ প্রসঙ্গে স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার মো. আশরাফ হোসেন লাইফ জ্যাকেটের অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘একেবারে নেই এ কথা বলা যাবে না।’
আশরাফ দাবি করেন, অনেক যাত্রীই লাইফ জ্যাকেট না পরে রোদ থেকে বাঁচতে মাথার ওপর ধরে রাখে। তবে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে বাধ্যতামূলকভাবে লাইফ জ্যাকেট ব্যবহারে নৌমন্ত্রীর ঘোষণার শতভাগ কার্যকর করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
দক্ষিণবঙ্গের এই নৌপথে স্পিডবোট চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ)। তবে স্পিডবোট ঘাটের ইজারা দেয় জেলা পরিষদ।
মাওয়া নৌবন্দরের পরিবহন পরিদর্শক মো. রিয়াদ জানান, গত বছরের ১৯ জুলাই শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌপথ পরিদর্শন করে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান স্পিডবোটে প্রত্যেক যাত্রীর লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেন। নৌমন্ত্রীর ওই ঘোষণার কয়েক দিন পরই ৪ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে মাওয়ার অদূরে পদ্মায় এমএল পিনাক-৬ নামের একটি লঞ্চ ডুবে গেলে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।