সাতক্ষীরায় ‘চাপের মুখে’ আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমাদানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এসব প্রার্থীরা জানিয়েছেন, চাপের মুখে ইউপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের এ ব্যাপারে আগেই চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু প্রত্যাহার না করায় সময় শেষ হয়ে গেলেও নতুন করে তাঁদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
আজ রোববার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রউফ বলেন, ‘দলের চিঠি পাওয়ার পরও আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করিনি। আমার নামে আনারস প্রতীক বরাদ্দও হয়েছে। এখন নতুন করে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন সভাপতি ও সম্পাদকের কাছ থেকে চাপ আসছে। শেষ পর্যন্ত সংবাদ সম্মেলন করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার এই ঘোষণা দিতে বাধ্য হলাম।’ আবদুর রউফ বৈকারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
এদিকে কলারোয়ার কয়লা ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য দলের কাছ থেকে একই চিঠি পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থন নিয়েই আমি প্রার্থী হয়েছি। কারো খেয়ালি ইচ্ছায় আমি নির্বাচন থেকে সরে আসতে পারি না।’ তিনিও এখন নতুন চাপের মধ্যে আছেন বলে জানান।
কালীগঞ্জ উপজেলার রতনপুর ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা হিমাংশু ঘোষও যথাসময়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। তিনিও পেয়েছেন আনারস প্রতীক। শেষ পর্যন্ত দলের চাপের মুখে তিনি কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূর মোহাম্মদ সরদার জানান, তিনিও দলের চিঠি পেয়েছেন। চাপও পাচ্ছেন অনেক। কিন্তু নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘চিঠি দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরে দাঁড়িয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। যিনি রাজি হননি তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থার সুপারিশ করেছি আমরা। এ নিয়ে চাপ প্রয়োগ করার কিছু নেই।’