সাতক্ষীরায় বিএনপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা, আহত ৫
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রুহুল কুদ্দুস ও তাঁর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হামলার ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীর পাঁচ সমর্থক আহত হন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একসরা গ্রামের শফিকুল ইসলাম, মোকসেদ শিকারী এবং রাজাপুর গ্রামের মনিরুল ইসলাম ও শুভ। এ সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলমগীর আলম লিটন তাঁর শটগান থেকে দুটি গুলি ছুড়লে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এর একদিন আগে একই এলাকায় সহিংস ঘটনায় আহত হন আরো সাতজন।
বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ করেন, ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তাঁকে ইউনিয়নে ঢুকতে দিচ্ছিলেন না আলমগীর আলম লিটন ও তাঁর লোকজন। এলাকায় তাঁর ধানের শীষ প্রতীকের পোস্টার ছিড়ে ফেলাসহ তাঁর কর্মী সমর্থকদের মারপিট করা হচ্ছে। সোমবার তাঁর কয়েকজন কর্মী ভোলানাথপুর এলাকায় গেলে তাঁদের ওপর হামলা চালিয়ে মারপিট করে লিটনের লোকজন। এ ঘটনায় উল্টো তাঁকেসহ তাঁর কর্মীদের নামে আশাশুনি থানায় একটি মামলা করা হয় বলে জানান তিনি।
রুহুল কুদ্দুস আরো জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এলাকায় গিয়ে স্থানীয় একসরা বাজারে একটি পথসভা শেষে মনিপুর এলাকার দিকে যান। তিনি বাড়ি এসেছেন এ খবর জানতে পেরে বিকেলে লিটন শতাধিক লোকজন নিয়ে একসরা গ্রামে তাঁর বাড়িসহ স্বজনদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ সময় বাড়ির মূল্যবান দালিলিক কাগজপত্র ও সোনা-গয়না খোয়া যায়। ঘটনার সময় লিটন তাঁর ব্যবহৃত শটগান থেকে দুটি গুলি ছুড়লে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে গেলেও তাঁর পাঁচ সমর্থক আহত হন।
এলাকায় থেকে যাতে নির্বিঘ্নে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন রুহুল কুদ্দুস।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আনুলিয়া ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলমগীর আলম লিটন তাঁর প্রতিপক্ষ বিএনপি প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করেন। একই সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত শটগান থেকে গুলি ছোড়ার ঘটনা সঠিক নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান মুন্সী জানান, আনুলিয়া ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। ঘটনাস্থল একসরা গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।