চুয়াডাঙ্গায় শঙ্কা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন ভোটাররা
দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা ১১টায় সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কে এম মামুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুর রাজ্জাক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফুল আলম ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
সভায় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ও আবদুল্লাহ আল সামী উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীরা সহনশীলতার পরিচয় দেবেন। অন্য প্রার্থীদের প্রচারে সুযোগ দেবেন। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আচরণবিধি মেনে চলবেন। নির্বাচনে মোবাইল টিম, স্ট্রাইকিং ফোর্স ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করবেন। কোনো শঙ্কা ছাড়াই ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন এবং নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারবেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা এ আশ্বাস আপনাদের দিচ্ছি।’
মতবিনিময় সভায় সদর উপজেলার চার ইউপির এক নারী প্রার্থীসহ ২০ জন চেয়ারম্যান, ৩৩ জন সংরক্ষিত সদস্য এবং ১২৪ জন সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৩১ মার্চ সদর উপজেলার আলুকদিয়া, মোমিনপুর, পদ্মবিলা ও কুতুবপুর ইউপির ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে আলুকদিয়া ইউপিতে পাঁচজন ভোটযুদ্ধে লড়ছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আক্তাউর রহমান মুকুল (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন (আনারস), বিএনপির মনোনীত প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জুলফিকার আলী কলি (লাঙ্গল) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী মো. আলিমুজ্জামান (হাতপাখা) প্রতীকে আবেদন করেছেন।
মোমিনপুর ইউপি নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শেফালী খাতুন (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম ফারুখ জোয়ার্দ্দার (ঘোড়া), বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম (ধানের শীষ), বিএনপির বিদ্রোহী হাবিবুর রহমান শেখন (আনারস) এবং জামায়াত মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান জোয়ার্দ্দার (চশমা)।
পদ্মবিলা ইউপি নির্বাচনে লড়ছেন চারজন প্রার্থী। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু তাহের বিশ্বাস (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সেলিম মল্লিক (আনারস), বিএনপি মনোনীত আতিয়ার রহমান (ধানের শীষ) এবং জামায়াত মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বিল্লাল হোসাইন (চশমা)।
কুতুবপুর ইউপিতে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। আওয়ামী লীগ মনোনীত আলী আহম্মেদ হাসানুজ্জামান (নৌকা), আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াৎ হোসেন (আনারস), এস এম ফিরোজ কবীর (চশমা) ও আসাদুল হক (মোটরসাইকেল), বিএনপির মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম (ধানের শীষ) ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল মজিদ (রজনীগন্ধা)।