অস্ত্র দেখিয়ে ভোটাধিকার কাড়তে চায় আঞ্চলিক দলগুলো
পাহাড়ের আঞ্চলিক সংগঠনগুলো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোর করে সাধারণ জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে। রাঙামাটির সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু এই অভিযোগ করেছেন।
আজ সোমবার রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের রিফিউজি পাড়া ও লেমুছড়ি ধাইয়ার পাহাড় এলাকার ছড়ার ওপর নতুন সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেন ফিরোজা বেগম চিনু।
রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রাজিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মংক্য মারমা, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তারিকুল আলম, চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম।
ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ফিরোজা বেগম চিনু আরো বলেন, ‘আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে, আমাকে নাকি গুলি করবে না, সুযোগ পেলে ছুরি দিয়ে জবাই করবে।’ তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের সংখ্যা গুটিকয়েক। আমরা সবাই ঐকবদ্ধ হয়ে কাজ করলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কোনো ব্যাপার না।’
ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারকেও ফেসবুকের মাধ্যমে হুমকি দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি পাহাড়ের পাহাড়ি-বাঙালি সবার ঐক্যের প্রতীক।
পাহাড়ের সব মানুষের উন্নয়নের কথা তিনি চিন্তা করেন। এখানকার সাধারণ মানুষের শান্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, তাই তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
আলোচনা সভায় ফিরোজা বেগম ইউপি নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে সঠিক নেতা নির্বাচিত করুন, যে প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে পারবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে রাইখালী ইউনিয়নের জনগণের বিদ্যুৎ সমস্যা ও বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মহিলা এমপি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে হবে। যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো যাবে না সেখানে সোলার প্যানেল বসাতে হবে।
ফিরোজা বেগম চিনু রাইখালী ইউনিয়নের জনগণকে আশ্বাস দেন যে অতিদ্রুত এখানকার বিদ্যুতের লো ভোল্টেজের সমস্যা এবং পানির সমস্যা সমাধান করা হবে।
এর আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু নির্মাণ কর্মসূচি ২০১৫- ২০১৬-এর আওতায় রাইখালী ইউনিয়নের রিফিউজিপাড়া ছড়ার ওপর ৩০ লাখ টাকা এবং বড়ঝিড়িপাড়া ধাইয়ারপাড় এলাকায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি সেতু নির্মাণের ভিত্তিস্থাপন করেন ফিরোজা বেগম চিনু।