পটুয়াখালীতে ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই গুলি
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের চুঙ্গাপাশা এবতেদায়ী মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্র দখল করার সময় আওয়ামী লীগের সমর্থকরা চারটি ব্যালট বক্স ছিনিয়ে নিয়েছে। এ সময় পুলিশ পাঁচটি গুলিবর্ষণ করলে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে পুলিশ একটি ভাঙা ব্যালট বাক্স উদ্ধার করে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর ওই ঘটনার পর ওই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
একই ইউনিয়নে নিশান বাড়িয়া ভোটকেন্দ্রেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এ কেন্দ্রেও পাঁচটি গুলি বর্ষণ করে। এতে একজন ইউপি সদস্য পদপ্রার্থীসহ আহত হয় পাঁচজন। পূর্ব চাকামইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রেও চলে সংঘর্ষ।
গলাচিপা উপজেলার পশ্চিমপাড় ডাকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র দখল করে নৌকার ব্যালটে সিল মারার সময় পুলিশ বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ ১০টি ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কিছুক্ষণ ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখার পর পুনরায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
পটুয়াখালীর ছোটবিঘাই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া এবং জাল ভোটের অভিযোগ এনে বিএনপির প্রার্থী মিজান গাজী, স্বতন্ত্র প্রার্থী লাল গাজী এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মাওলানা গনি সিকদার সকাল থেকেই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
দুমকি উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউপির আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী রেজাউল হক রাজন নিজ দলীয় নেতা, প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব এবং জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ এনে কোনো ভোটকেন্দ্রে নৌকার এজেন্ট দেননি। ব্যতিক্রমী ইউপি নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাতীয়পার্টির সুলতান আহমেদ হাওলাদার।
একই অভিযোগ এনে বাউফল উপজেলার বগা, কালিশুরী ও ধুলিয়া ইউপির তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন।