শেরপুরে নির্বাচনোত্তর সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ৩০
শেরপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় বেশ কিছু বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ১২টি ইউনিয়নে দুপুর পর্যন্ত কোনো সমস্যা না হলেও বেলা ২টার পর গোলযোগ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হয়। এসব ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন।
গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের ভর্তি করা হয়েছে শেরপুর সদর হাসপাতাল ও নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
দুপুর ২টার দিকে বাঘবেড় ইউনিয়নের গোবিন্দ কালীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে জোবায়ের খালেদ নামে পুলিশের এক উপরিদর্শকসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন।
তিনটার দিকে রূপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নের কাওয়াকুড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ব্যালট দখল করে সিল মারাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের। এ সময় সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় দুজন। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ১০০ ভোট বাতিল করেন।
প্রায় একই সময় বাঘবেড় ইউনিয়নের গেরামারা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার সমর্থকরা ব্যালট নিয়ে সিল মারতে থাকলে সংঘর্ষ বাধে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে। এ সময় আহত হন প্রায় পাঁচজন। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে প্রায় ১৫ রাউন্ডের মতো গুলি ছোড়ে।
ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল ৪টার দিকে মরিচপুরান ইউনিয়নের কৌন্ননগর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় সাতজন।
এ ছাড়া সন্ধ্যার পর থেকে রাত পর্যন্ত নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নালিতাবাড়ী সন্যাসী ভিটাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আরো ১৫ জনের মতো আহত হয়েছে।