নালিতাবাড়ীতে জিতেও হেরেছে আ. লীগ
পুলিশের গুলি, জাল ভোট ও সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নির্বাচন।
এবারের নির্বাচনে ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে আটটিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, একটিতে বিএনপি, দুটিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও একটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ফলাফলে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও গতবারের চেয়ে তুলনামূলক খারাপ ফলাফল হয়েছে এসব ইউনিয়নে।
বিগত নির্বাচন যদিও দলীয় ভিত্তিতে হয়নি তবু আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা ১২ ইউনিয়নের মধ্যে ১০টিতেই জয় পেয়েছিলেন। আর দুটিতে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপি সমর্থিতরা।
১০টি ইউনিয়নের মধ্যে গত নির্বাচনে নয়াবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নূর রহমান জয়ী হয়েছিলেন। এবারে তিনি হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এখানে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির ইউনুছ আলী দেওয়ান।
নন্নী ইউনিয়নে গত নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের আবদুল হাই আজাদ। এবার তিনি হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী। এখানে জয়ী হয়েছেন বিএপির বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুবুর রহমান রিটন।
পাঁচগাঁও ইউনিয়নে গতবার আওয়ামী লীগের আজাদ মিয়া জয়ী হয়েছিলেন। এবার তাঁকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন দেওয়া হয় জেলার একমাত্র মহিলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বন্দনা চাম্বুগংকে। কিন্তু এবারও জয়ী হয়েছেন আজাদ মিয়া।
রামচন্দ্রকুড়া মণ্ডলিয়া পাড়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ বাদশা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও জয়ী হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী খোরশেদ আলম খোকা।
গত নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হয়েছিল নালিতাবাড়ী সদর ও মরিচপুরান ইউনিয়নে। এবার এ দুটি আসনেই জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
অন্যদিকে নয়াবিল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করেছে বিএনপি প্রার্থী। নন্নী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ধরাশায়ী হয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে।
মূলত গত নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে বড় দুটির দলেরই ফলাফল তুলনামূলক খারাপ হয়েছে।