নেশার টাকা না পেয়ে বাবা-মাকে হত্যা
নেশার টাকা না পেয়ে পঞ্চগড় জেলা শহরে বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন মাদকাসক্ত ছেলে। এ সময় পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। পুলিশ মাদকাসক্ত ওই ছেলেকে আটক করেছে। আজ রোববার দুপুর ১টার দিকে সদর থানার পেছনে পুরাতন ক্যাম্প এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পঞ্চগড় সুগার মিলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (৬৫) ও তাঁর স্ত্রী সুলতানা বেগম (৫০)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মমিনুল ইসলাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, দুপুরে মিজানুর ও তাঁর স্ত্রী খেতে বসেছিলেন। এ সময় তাঁদের ছেলে মঞ্জুরুল হাসান শান্ত (৩৫) নেশার টাকা না পেয়ে তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করেন। ধস্তাধস্তিতে শান্ত নিজেও আহত হন।
ঘটনাটি থানার পেছনে হওয়ায় লোকজনের চিৎকার শুনে উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফ, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এনামুল হক, থানার গাড়িচালক কনস্টেবল মাহবুবের স্ত্রী নাছিমা বেগম ওই বাসায় গেলে শান্ত তাঁদেরও কুপিয়ে জখম করে।
ওসি আরো জানান, পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে শান্তকে আটক করে পুলিশ। আহতদের উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মিজানুর ও তাঁর স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ফারহানা তাসলিমা এনটিভি অনলাইনকে জানান, আহতদের মধ্যে নাছিমাকে গুরুতর অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, শান্ত পঞ্চগড় সুগার মিলের ক্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসটেন্ট (সিডিএ) হিসেবে কাজ করেন। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলের জনক।
এ ঘটনার পর পঞ্চগড় থানা, হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলের আশপাশে শত শত লোক ভিড় জমায়।