তোলা হলো তনুর লাশ
অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কবর থেকে তোলা হয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুর লাশ। পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার দুপুরে তনুর লাশ উত্তোলন করা হয়।
তনু হত্যার অষ্টম দিনে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় কুমিল্লার মুরাদনগরের মির্জানগর গ্রামে কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর আলমের নেতৃত্বে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
সোহাগী জাহান তনুর সুরতহাল রিপোর্টে অস্পষ্টতা আছে দাবি করে গত ২৮ মার্চ কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে লাশের পুনঃময়নাতদন্তের আবেদন করেন মঞ্জুর আলম। এর পরিপ্রেক্ষিতে লাশ পুনঃময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক। এ জন্য লাশ উত্তোলনের সময় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আজ সকালে কুমিল্লা সদর উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজ আল মামুনের নেতৃত্বে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মির্জানগর গ্রামের কবরস্থান থেকে তনুর লাশ উত্তোলনের ব্যবস্থা নেন। লাশ উত্তোলন প্রক্রিয়া চলার সময় মির্জানগর গ্রামে স্থানীয় উৎসুক জনতা ও তনুর স্বজনরা কবরস্থান এলাকায় জড়ো হয়ে হত্যার ঘটনায় বিক্ষোভ করেন।
পরে তনুর লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই লাশের পুনঃময়নাতদন্ত করা হবে।
গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় টিউশনির জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তনু। পরে বাসায় ফিরে না আসায় তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন পরিবারের সদস্যরা। রাতে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন কালভার্টের পাশে ঝোপের মধ্যে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পরদিন সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় তাঁকে।
তনুকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লাজুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ। প্রতিবাদ কুমিল্লা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ঢাকাসহ সারা দেশে।