আমরা পতাকার ব্যবহার শিখিনি : শিবনারায়ণ
প্রথম জাতীয় পতাকার নকশাকারী (ডিজাইনার) শিবনারায়ণ দাস বলেন, ‘আমরা যথাযোগ্যভাবে পতাকার ব্যবহার শিখি নাই, জানি না, চেষ্টাও করি না। আমরা আবেগে-উল্লাসে মত্ত হয়ে উঠি।’
আজ সোমবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দিনব্যাপী পতাকা উৎসবে শিবনারায়ণ দাস এ কথা বলেন। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
‘আপনারা ঘটা করে আমার কথা বলেন। কিন্তু আমার দুই পয়সারও কৃতিত্ব নেই। পতাকাটা দেশের আপামর জনসাধারণের,’ যোগ করেন জাতীয় পতাকার ডিজাইনার।
শিবনারায়ণ বলেন, ‘এ পতাকা আজকে যে অবস্থায় আছে, এর মধ্যে ভারত সরকারের কাছে বা সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে যাতে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি না হয়, এ জন্য বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখার মানচিত্রটি পতাকার মাঝখানে দেওয়া হয়েছিল। মানচিত্রটি ছিল সোনালি রঙের। সোনালি রং দেওয়ার কারণ ছিল, আমরা সোনার বাংলা বলি সেটা। সোনালি রং দিয়ে আমরা সেই বিষয়টি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলাম। সবুজ আমাদের প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রাকৃতিক অবস্থা। আর সূর্য জীবনের প্রতীক, সংগ্রামের প্রতীক।’
১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ তৎকালীন জাতীয় দিবসে পাকিস্তানের পতাকা পুড়িয়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা ওড়ানো হয়। দিনটিকে স্মরণ করতেই রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ আয়োজন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা ও দেশবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলার অঙ্গীকার করেন উপস্থিত সবাই।
পতাকা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ডিএমপি কমিশনার ও মুক্তিযুদ্ধের কয়েকজন সেক্টর কমান্ডার।
এর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তনীর সামনে থেকে একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শাহবাগে এসে শেষ হয়।