সুন্দরবনের বোটম্যানের বিরুদ্ধে হরিণ শিকার ও পাচারের অভিযোগ

পূর্ব সুন্দরবনের দাঁদপাই রেঞ্জের এক ‘বোটম্যানে’র বিরুদ্ধে হরিণ শিকার ও পাচারের অভিযোগ উঠেছে। ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগরামারী ক্যাম্পের ওই বোটম্যান আবদুল রশিদকে গত শনিবার স্থানীয় বাসিন্দারা গণধোলাই দিয়ে আটকে রাখে।
পরে রাতেই ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে রশিদকে ঢাংমারী আনার পর সেখান থেকে রশিদ পালিয়ে যায়। তবে রোববার রাতে রশিদকে মংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য রশিদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ ব্যাপারে রশিদ বলেন, ‘কয়েকদিন আগে সুন্দরবন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে যাওয়া একটি হরিণ ধরে জবাই করে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয় গ্রামের কয়েকজন লোক। এ ঘটনায় হরিণ ভাগ বাটোয়ারাকারীদের কাছ থেকে ৩০ হাজার পাঁচশো টাকা নেয় ঘাগরামারী ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মসিউর রহমান। টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে আটক করে চালান করে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখায় ওসি মসিউর। আর ওসির টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করায় লোকজন দিয়ে ওসি আমাকে মারধর করিয়ে আহত করেছে।’
এ ব্যাপারে ওসি মসিউরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের একাধিক বাসিন্দা ও বনকর্মী জানান, বোটম্যান রশিদ দুর্ধর্ষ প্রকৃতির। রশিদের বিরুদ্ধে হরিণ শিকার করে লোকালয়ে বিক্রি ও একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ আছে।
ঘটনার তদন্তে দাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন ও ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে, বিষয়টি জটিল মনে হচ্ছে।’