বগুড়ায় বিএনপি-আ. লীগ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার রামেশ্বরপুর ইউনিয়নে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ১২টি মোটরসাইকেল, সাতটি দোকান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ৭০ থেকে ৮০টি ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এ ঘটনায় দুই কনস্টেবলসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রামেশ্বরপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে রামেশ্বরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচন উপলক্ষে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্য ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষই ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ কনস্টেবল আহসান ও আশরাফ আলীসহ উভয় দলের ১০ জন আহত হয়। এ সময় বাজারের পূর্ব পাশে রাখা ১২টি মোটরসাইকেল অগ্নিসংযোগ ও একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়। সাতটি দোকানঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গিয়ে লাঠিপেটা করে এবং শটগানের ৭০ থেকে ৮০টি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে রামেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী রফি নেওয়াজ খান রবিন সাংবাদিকেদের বলেন, ‘আমার সমর্থকরা বাজারে চা খেতে গেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা কোনো কারণ ছাড়াই তাদের ধাওয়া করে। তাদের মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া শামীমসহ কয়েকজন আহত হয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রামেশ্বরপুর ইউপিতে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল ওহাব মণ্ডল বলেন, ‘আমার ইউনিয়ন বিএনপির বর্ধিত সভা ছিল। রবিন খানের সমর্থকরা আমার সভা বানচালের চেষ্টা করলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া বাজারে সাত-আটটি দোকান পুড়িয়ে দেয়।’
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদ মাহমুদ খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রামেশ্বরপুর বাজারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাদের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী স্লোগান দিলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা থেকে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিছু মোটরসাইকেল ও দোকানপাটে আগুন দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৭০-৮০টি শটগানের গুলি করে।
গাবতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহম্মদ আহসান হাবিব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।