সুচিত্রা সেন আজীবন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে
ভাঙল মিলনমেলা। উৎসবের আমেজ কাটিয়ে পর্দা নামল পাবনায় পাঁচ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসবের। আজ রোববার রাতে উত্তর ফাল্গুনি এবং হারানো সুর ছায়াছবি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটে এই চলচ্চিত্র উৎসবের।
সমাপনী দিনের বিকেলে ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রেক্ষাপট : প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সুচিত্রা সেন তাঁর অভিনয়ের মধ্য দিয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের মানুষের হৃদয়ে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুচিত্রা সেনকে এবং তাঁর অভিনয় নিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে শিক্ষা ও গবেষণা জরুরি হয়ে পড়েছে। তাঁর অভিনয় শৈলী ধারণ করে চলচ্চিত্র নির্মাণ হলে তা এখনো ব্যবসা সফল হতে পারে।
পাবনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম বেঞ্জামিন রিয়াজির সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ড. সাজ্জাদ বকুল। প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক মারজিয়া রহমান।
সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি পাবনা জেলা পরিষদের প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু ও সাধারণ সম্পাদক ডা. রাম দুলাল ভৌমিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
রাতে সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬-এর উপদেষ্টা এম সাইদুল হক চুন্নুর সভাপতিত্বে সমাপনী দিনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা বেবী ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট পাবনার সভাপতি আবুল কাশেম, পাবনা এডওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক মাহমুদা পারভীন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা এবং পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুর রহমান।
পাঁচদিনের সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন স্বাধীন মজুমদার। অনুষ্ঠান শুরুর আগে সংগীত পরিবেশন করে চাঁদনী ও তুলতুল।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, পাবনা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ, পাবনার ব্যবস্থাপনায় ৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাবনায় পাঁচ দিনব্যাপী সুচিত্রা সেন চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সুচিত্রা সেন অভিনীত সপ্তপদী, গৃহদাহ, শাপমোচন, হসপিটাল, সাগরিকা, উত্তর ফাল্গুনি এবং হারানো সুর চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। হাজারো দর্শক এই উৎসব উপভোগ করেন।
পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, সিনিয়র সহসভাপতি কামাল সিদ্দিকী, সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক এ বি এম ফজলুর রহমান, অর্থ সম্পাদক নরেশ মধু, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর কামরুজ্জামান, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এম আবদুল আলীম, শিক্ষক ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. মো. হাবিবুল্লাহসহ শহরের বিপুল গণ্যমান্য ব্যক্তি সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।