লিবিয়া থেকে বাংলাদেশে আইএস জিম্মির ফোন

লিবিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হাতে অপহরণের ১৮ দিন পর পরিবারের সাথে কথা বলেছেন জামালপুরের হেলাল উদ্দিন। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ফোন করেন বলে তাঁর স্ত্রী আলেয়া বেগম জানিয়েছেন।
জামাল উদ্দিনের বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায়।
হেলাল উদ্দিন তাঁর স্ত্রীকে জানান, নোয়াখালীর আনোয়ার ছাড়াও অন্য একজন বাংলাদেশি আইএস জঙ্গিদের হাতে জিম্মি আছেন। আজ আইএস জঙ্গিরা জিম্মিদের পরিবারের সাথে কথা বলার সুযোগ দেন।
হেলাল জানান, জঙ্গিরা তাদের দুই একদিনের মধ্যে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, আইএস তাদের ওপর কোনো নির্যাতন বা খারাপ আচরণ করেনি। তাদের দিনে একবেলা খাবার দেওয়া হচ্ছে।
ফোনে কথা হওয়ার পর হেলাল উদ্দিনের পরিবারে কিছুটা স্বস্তি এলেও মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত ভয় বা আতঙ্ক কাটছে না তাদের।
গত ৬ মার্চ হেলাল উদ্দিনসহ নয় বিদেশি নাগরিককে অপহরণ করে আইএস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৯ মার্চ গণমাধ্যমকে এই খবরটি জানায়। পরে স্থানীয় প্রশাসন খবরটি মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী গজারিয়া গ্রামের হেলালের পরিবারে পৌঁছে দেয়।
ওই গ্রামের প্রয়াত আমাদ শেখের ছেলে হেলাল উদ্দিন পাঁচ বছর আগে লিবিয়ায় যান। সেখানে তিনি একটি তেল কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। গ্রামের বাড়িতে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম তিন মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন।
হেলাল উদ্দিনকে উদ্ধারের ব্যাপারে ১১ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আইএস হয়তো বাংলাদেশিদের টার্গেট করেনি, তাঁরা এই ঘটনার শিকার। তিনি জানান, লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস অপহৃতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই বাংলাদেশি নাগরিক দ্রুত মুক্ত হবেন।