‘চারদিন আগে জানিয়েছিল অবস্থা ভালো না’

চারদিন আগেই গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সাথে কথা বলেছিলেন হেলাল উদ্দিন। তখন স্ত্রী আলেয়া বেগমকে জানিয়েছিলেন লিবিয়ার অবস্থা খুব একটা ভালো না, আশপাশে সব সময় বোমা বিস্ফোরিত হচ্ছে। তখন থেকেই উদ্বেগ, আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তা ছিল আলেয়ার। এর মধ্যেই আজ সোমবার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলেয়াকে তাঁর স্বামীর অপহৃত হওয়ার খবরটি দেওয়া হয়।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আলেয়া এনটিভি অনলাইনকে আজ বিকেলে জানান, ‘চারদিন আগে তাঁর (হেলাল) সাথে কথা হয়। ফোনে কথা বলার সময় সে জানিয়েছিল, সেখানকার অবস্থা খুব একটা ভালো না। আশপাশে নাকি বোমা ফাটছিল।’
গত বছর বাংলাদেশে এসে দুই মাসের ছুটি কাটিয়ে লিবিয়ায় ফিরে যান হেলাল। স্বামী অপহরণের পর আলেয়া বুঝতে পারছেন না, কোন কারণে তাঁর স্বামীকে অপহরণ করেছে আইএস।
আলেয়া বেগম জানান, হেলালই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। স্বামীকে উদ্ধারে সরকারের সর্বাত্মক সহায়তা কামনা করেন তিনি।
৬ মার্চ হেলাল উদ্দিনসহ নয় বিদেশি নাগরিককে অপহরণ করে আইএস। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার গণমাধ্যমকে এই খবরটি জানায়।
পরে স্থানীয় প্রশাসন খবরটি মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী গজারিয়া গ্রামের হেলালের পরিবারে পৌঁছে দেয়। গ্রামের মৃত আমাদ শেখের ছেলে হেলাল উদ্দিন পাঁচ বছর আগে লিবিয়ায় যান। সেখানে তিনি একটি তেল কোম্পানিতে কাজ করছিলেন। গ্রামের বাড়িতে হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী আলেয়া বেগম তিন মেয়ে আর দুই ছেলেকে নিয়ে থাকেন।