শৌচাগার নির্মাণে বাঁশ : প্রকৌশলী ঠিকাদার জেলহাজতে
গাইবান্ধায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহ ও ঠিকাদার আবদুল খালেক বকশিকে গ্রেপ্তার করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা।
সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার নির্মাণে ঢালাইকাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ও বেঞ্চের অ্যাঙ্গেল ব্যবহারের অভিযোগে আজ মঙ্গলবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে দুদক কর্মকর্তারা তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। গ্রেপ্তার হওয়া দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বিদ্যালয় ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে মেঘডুমুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের জন্য শৌচাগার (ওয়াসব্লক) নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ঠিকাদার আবদুল খালেক বকশী ওই নির্মাণকাজের দায়িত্ব পান। নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন ঢালাইয়ের কাজে ১০ থেকে ১২ মিলিমিটার লোহার রড ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু রডের পরিবর্তে ঢালাইকাজে চিকন বাঁশ ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত বেঞ্চের অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করা হয়। ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধার উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহ।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দুদকের রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. জাকারিয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। সত্যতা পেয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আজ সকাল থেকে অভিযান শুরু করেন। দুপুরের মধ্যে ঠিকাদার আবদুল খালেক বকশীকে তাঁর বাড়ি থেকে এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর গাইবান্ধা কার্যালয় থেকে উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফ বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করেন।
পুলিশ তাঁদের দুজনকে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে গাইবান্ধা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।