রাজনৈতিক সহায়তা ছাড়া সুন্দরবনে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ সম্ভব নয়

প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুস আলী আজ শনিবার বিকেলে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ সময়ে ইউনুস আলী সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনে চতুর্থ দফায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা দুর্বৃত্তায়নের ঘটনা। কোনো বাওয়ালি, মৌয়াল, জেলে বা খেটে খাওয়া মানুষ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়নি। দুর্বৃত্তরা তাদের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। সামাজিকভাবে পলিটিক্যাল ফোর্স যারা, তারা যদি এই দুর্বৃত্তায়ন বন্ধে সহায়তা না করে তা হলে এটা বন্ধ হওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশন এলাকার তুলাতলায় আগুন দেওয়ার অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। তবে আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য তাদের নাম প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেছে বন বিভাগ।
এ নিয়ে সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বন বিভাগ তিনটি মামলা করেছে। যার আসামি সংখ্যা ২২ জন।
আগুন নিভে গেলেও সুন্দরবনের তুলাতলা এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে পোড়া গন্ধ। চতুর্থ দফা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সুন্দরবনের তুলাতলা এলাকার ১ দশমিক ২ কিলোমিটার পরিধিতে ১৫টি পকেটে প্রায় সাড়ে তিন একরের বনভূমি পুড়ে গেছে বলে বন বিভাগ দাবি করেছে। তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, পুড়ে যাওয়া বনভূমির পরিমাণ আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ একর।