শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ছাত্রীদের বিক্ষোভ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে চুয়াডাঙ্গা শহরের ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছে।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও বিচার প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে ছুটে যান। অভিযুক্ত ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক আহাদ আলীর শাস্তি দাবি করেছে ছাত্রীরা।
ছাত্রীদের অভিযোগ, দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করেছেন আহাদ আলী।
বিক্ষোভ চলাকালে বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা সংগঠিত হয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন এবং অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলীকে ধোলাই দেন। খবর পেয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ বি এম মাহমুদুল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ছুফি উল্লাহ ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং ছুটি দেওয়া হয়। বেলা ১টায় পুলিশের পাহারায় ওই শিক্ষককে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী গত ৩০ এপ্রিল শুক্রবার শিক্ষকের বাড়িতে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার হয়। ওই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে অভিভাবক ও পরদিন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায়। এ নিয়ে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি ও শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় শেষমেশ ছাত্রীরা আন্দোলনে নামে।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী ঘটনার শিকার লিখিত কোনো অভিযোগ না দেওয়ায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি উভয় পক্ষকে নিয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক আহাদ আলী দাবি করেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ সঠিক নয়। তিনি বলেন, স্কুলছাত্রী তাঁকে বিয়ে করতে প্রস্তাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ষড়যন্ত্র করছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোজাম্মেল হক জানান, বিদ্যালয়ে বিক্ষোভের কথা শুনে সেখানে যান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। শিক্ষককে নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।