প্রবীণ সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন মকবুল আর নেই
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও প্রবীণ সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন মকবুল (৮০) মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ...রাজিউন)। আজ বুধবার সকালে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন আশরাফ উদ্দিন মকবুল। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে, দুই মেয়ে, নাতি-নাতনি, আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আজ বুধবার বাদ আসর নিরালা জামে মসজিদে মরহুমের জানাজা শেষে নিরালা কবরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়।
মরহুম আশরাফ উদ্দিন মকবুল খুলনা ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) বিশেষ প্রতিনিধি এবং খুলনা ব্যুরো প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে একজন সাংবাদিক হিসেবে তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে তাঁর ভূমিকা স্মরণ করেন।
আশরাফ উদ্দিন মকবুলের মৃত্যুতে জাতীয় প্রেসক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
ক্লাব সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরী এক শোকবার্তায় আশরাফ উদ্দিন মকবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন বিশিষ্ট সাংবাদিককে হারালো। তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তাঁরা সমবেদনা জানান।
আশরাফ উদ্দিন মকবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক, শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি এস এম জাহিদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সভাপতি আনোয়ার আহমেদ ,সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ মোল্লা প্রমুখ।
আশরাফ উদ্দিন মকবুল খুলনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য এবং খুলনা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় দুটি দৈনিক পত্রিকা দৈনিক বঙ্গবাণী ও দৈনিক মেইলের সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার কাটাখালী গ্রামে ১৯৩৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।