দেশে ১৭৭ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখা যায়
দেশে ১৭৭ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখা যায়। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নওগাঁয় বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এ তথ্য জানান।
শহরের ড্যাফোডিলস স্কুল চত্বরে বন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি, নেচার কনজারভেশন সোসাইটি এবং নওগাঁ ইনিশিয়েটিভ ফর সোসাইটি হেরিটেজ অ্যান্ড নেচার (নিশান) যৌথভাবে এই আলোচনা সভা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে ‘পরিযায়ী পাখি নিধন, শিকার ও পাচার বন্ধ করি’ শিরোনামে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল হান্নান। আলোচনা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর বিভিন্ন প্রকারের পরিযায়ী পাখি প্রদর্শন করা হয়।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ড. মো. আমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশে পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণের গুরুত্ব শিরোনামে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক উপ-প্রধান বন সংরক্ষক বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং নেচার কনজারভেশন সোসাইটির প্রধান নির্বাহী পরিচালক ড. তপন দে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বগুড়া অঞ্চলের বন সংরক্ষক আব্দুল মাবুদ, পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক, রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম, সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম খান এবং নিশানের প্রধান নির্বাহী পরিচালক মো. মহিদুর রহমান প্রমুখ আলোচনা করেন।
আলোচনা সভায় আলোচকরা বলেন, সারা পৃথিবীতে মোট পাখি প্রজাতির সংখ্যা প্রায় নয় হাজার ৯০০ থেকে ১০ হাজার পর্যন্ত। ভারতীয় উপমহাদেশে পাখি প্রজাতির সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২০০ এবং বাংলাদেশে এই সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬০০। বন্যপ্রাণী বিশষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশে প্রায় ৪৭৭ প্রজাতির পাখি দেখা যায়। এদের মধ্যে আবাসিক প্রজাতির পাখির সংখ্যা ৩০১ এবং অবশিষ্ট প্রজাতির পাখি পরিযায়ী। বাংলাদেশে শীতকালে ১৬০, গ্রীষ্মকালে ৬ এবং বসন্তকালে ১০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি দেখতে পাওয়া যায় বলে বিশ্ব পরিযায়ী পাখি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচকরা এই তথ্য প্রদান করেছেন।