রাঙামাটিতে গুলিতে জেএসএস কর্মী নিহত
রাঙামাটির নানিয়ারচরে প্রতিপক্ষের গুলিতে মকবুল চাকমা (৪৫) নামে জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) এক কর্মী নিহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের আমতলী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন মকবুল। রাতে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
জনসংহতি সমিতি এ ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দোষারোপ করেছে। তবে ইউপিডিএফ তা অস্বীকার করেছে।
পুলিশ জানায়, রাস্তা থেকে এক লোক মকবুল চাকমাকে নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের আমতলী এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গুলির আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন গিয়ে মকবুল চাকমাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে রাঙামাটি রাঙামাটি সদর হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নেতা ও নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা এই ঘটনার জন্য ইউপিডিএফকে দায়ী করে বলেন, ‘মূলত মকবুল চাকমা ইউপি নির্বাচনে আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
ইউপিডিএফ নেতা ও সাবেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুশীল জীবন চাকমা বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কিছুই শুনিনি। ইউপিডিএফও এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।’
নানিয়ারচর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীপক চন্দ্র দেবনাথ মকবুল চাকমার গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান বলেন, ‘আমরা যতটুকু জেনেছি নিহত মকবুল চাকমা আগে ইউপিডিএফ করতেন, পরে তিনি সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত জনসংহতি সমিতির এমএন লারমা অংশে যোগ দেন। সম্ভবত এই কারণে তাঁকে হত্যা করা হতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।’