হবিগঞ্জে জোড়া খুন মামলার অন্যতম আসামি গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জের লাখাইয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই ব্যক্তি খুনের ঘটনার অন্যতম আসামি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আমিরুল ইসলাম ওরফে আলমকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা।
গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে লাখাই উপজেলার বুল্লাবাজার থেকে আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আমিরুল ইসলাম লাখাইয়ের তেঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি তেঘরিয়া এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
গত বছর ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের মলাই মিয়া পার্শ্ববর্তী পূর্ব সিংহগ্রামের শাহজাহান মিয়ার দোকানে খেজুর কিনতে যান। খেজুরের দাম নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। এ ঘটনার জের ধরে গত বছরের ১৯ জুলাই বেলা ১১টার দিকে উভয় গ্রামের লোকজন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে তেঘরিয়া গ্রামের মনা মিয়ার ছেলে কদম আলী ও সায়েদ মিয়ার ছেলে বকুল মিয়া মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়। ঘটনার পরপরই মামলার অন্যতম আসামি আমিরুল ইসলাম আলম পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। হত্যা মামলার আসামি হলেও তাঁকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক দেখিয়ে ৫৪ ধারায় কোর্টে চালান দেওয়া হয়। ফলে সহজেই তিনি জামিনে ছাড়া পান। পরবর্তী সময়ে মামলা দুটির তদন্তভার সিআইডিকে দেওয়া হয়।
গতকাল রাতে বুল্লাবাজার থেকে আমিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে হবিগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
গ্রেপ্তার আমিরুল ইসলাম আলম জানান, যখন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়, তখন তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এসব ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।
আমিরুল আরো জানান, তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছিলেন। মাত্র এক ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছেন।