কুষ্টিয়ায় তুলি ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
কুষ্টিয়ার খাজানগরে আফসানা আক্তার তুলি ‘হত্যার’ বিচার দাবি করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, তুলিকে হত্যা করেছেন তাঁরই স্বামী আজাদ এবং এ কারণে আজাদের ফাঁসি দাবি করেছে তারা।
আজ শনিবার এ দাবিতে খাজানগরে শত শত নারী-পুরুষ পোস্টার, ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
গত ১৮ মে মিরপুর উপজেলার বালিয়াশিশা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তুলির লাশ উদ্ধার করা হয়।
ক্ষুব্ধ লোকজন আজ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। খাজানগর চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন সাধুসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এতে বক্তব্য দেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে শত শত পরিবহন আটকা পড়ে। আড়াই ঘণ্টা পর বেলা ১টায় পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহাবুদ্দিন চৌধুরী জানান, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বিক্ষোভকারীরা জানান, সদর উপজেলার খাজানগরের মেয়ে আফসানা আক্তার তুলির সঙ্গে মিরপুর উপজেলার বালিয়াশিশা গ্রামের আজাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই পড়াশোনা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তুলিকে চাপ দেন আজাদ। এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তুলি কলেজে ভর্তি হতে চাইলে ক্ষেপে ওঠেন আজাদ। গত ১৮ মে তুলিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন আজাদ। আগামী দুদিনের মধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেন বক্তারা।
এ ব্যাপারে মিরপুর থানার ওসি কাজী জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, প্রাথমিক তদন্তে এটা আত্মহত্যা বলে পুলিশ মনে করে। পরবর্তী সময়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে বিষয়টি জানা যাবে। এ ব্যাপারে মিরপুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান।