‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে’
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার স্বার্থে পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্ত্র উদ্ধারে গত শুক্রবার রাতেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকীবউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র সব জব্দ করতে হবে এবং অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
আজ শনিবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন কাজী রকীবউদ্দীন আহমদ।
সিইসি কাজী রকীবউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসী, কোনো বহিরাগত, কোনো অস্ত্রধারী থাকতে পারবে না। তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে।’
সিইসি আরো বলেন, ‘সেনাবাহিনী কেউ কেন্দ্রের ভেতরে থাকে না। পুলিশও কেন্দ্রের ভেতরে থাকে না। সেনাবাহিনী তাদের কাজ করবেন। তারা কাজ করছেন আগে থেকেই। কেন্দ্রের ভেতরে আমরা সিভিলিয়ানরা থাকি। কেন্দ্রের বাইরে পাহারা দেয় র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্যরা।’
সিইসি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।
এর আগে সিইসি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত নিবন্ধিত বিভিন্ন জাতীয় রাজনৈতিক দল, প্রার্থী,আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা আঞ্চলিক দলগুলোর বিরুদ্ধে নিজেদের প্রার্থীদের হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, অপহরণ, অস্ত্রবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেন।
জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা যা করণীয়, তার সবই করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রাঙামাটি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এম এন আনিসুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের পরিষ্কার একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই, সরকার আমাদের অস্ত্র দিয়েছে, গুলি দিয়েছে এবং এগুলো ব্যবহারের নির্দেশও দিয়েছে। যদি কেউ এসব ব্যবহারের পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটায় তাহলে আমার অস্ত্র গর্জে উঠবে, গুলি হবে। তাতে আহত হলে নিহত হলে কিছু করার থাকবে না।’
সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছাড়াও এ সময় বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশনের সচিব সিরাজুল ইসলাম, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।